ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাংগী উপজেলার ধনতলা, পাড়িয়া ও চাড়োল ইউনিয়নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মহাজোটের সভাপতি প্রভাত কুমার সাহার সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি ভুবন মোহন মোহন্ত,

বিভাগীয় মহাজোটের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ নির্মলেন্দু গোস্বামী, ঠাকুরগাঁও জেলা মহাজোটের সভাপতি গৌড় হরি বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার রায়,

দিনাজপুর জেলা মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন রায়, জেলা যুব মহাজোটের আহ্বায়ক জয় মহন্ত অলক, জেলা ছাত্র মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় কুমার সিনহা বাপ্পি।

 

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী সাধারণ সম্পাদক সুজন ঘোষ, হরিপুর উপজেলা মহাজোটের সভাপতি চন্দ্র মোহন রায়, সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ, উপজেলা যুব মহাজোটের আহবায়ক জগদীশ শর্মা মগেন, সদস্য সচিব স্বপন কুমার সাহা সহ ইউনিয়ন মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।

 

এসময় হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক এর নির্দেশনায় আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে এসে আমরা যা দেখলাম সেটা আসলেই অনেক দুঃখজনক যা বলার কোন ভাষা নেই।

এদেশে আমরা আর এরকম ঘটনা দেখতে চাই না। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

 

দুষ্কৃতিকারী সে যেই রাজনৈতিক দলের হোক না কেন প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আরো এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে তারা।

 

উল্লেখ, গত (৫ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক ভোর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১৪ টি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ধুকুরঝাড়ী সিন্দুপিন্ডী গ্রাম থেকে টাকাহারা গ্রাম পর্যন্ত ৯টি মন্দিরের প্রতিমা, পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া থেকে কলেজপাড়া গ্রাম পর্যন্ত ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ও চাড়োল ইউনিয়নের সাবাজপুর পশ্চিমনাথপাড়া ১টি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর হয়।

 

এঘটনায় ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ বালিয়াডাঙ্গী থানায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।